শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন

প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই বিএনপির গাত্রদাহ-সেতুমন্ত্রী

রিপোটারের নাম
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

দি বাংলা খবর : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শাসনামলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছিলো চরম স্থবিরতা। বাজেট ছিলো পরনির্ভর, ছিলো না বাস্তবায়নে কোনো সক্ষমতা। বিএনপির উন্নয়ন নীতি ও কৌশল ছিলো ভ্রান্ত এবং গণবিরোধী। আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে।

আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছিলো চরম স্থবিরতা। বাজেট ছিলো পরনির্ভর, ছিলো না বাস্তবায়নে কোনো সক্ষমতা। বিএনপির উন্নয়ন নীতি ও কৌশল ছিলো ভ্রান্ত এবং গণবিরোধী। উৎপাদন ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে বিএনপি ধ্বংস করে দিয়েছিলো। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিলো বিএনপির তথাকথিত উন্নয়ন। শুধুমাত্র বিদ্যুৎখাত নিয়ে তুলনা করলেই বিএনপির দাম্ভিকতা চূর্ণ হতে বাধ্য।

বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি তাদের সময়ে সারের জন্য কৃষকদের প্রাণ দিতে হয়েছিলো, এসব কী স্থিতিশীলতার নজির? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির ক্ষয়িষ্ণু, মুখোশ পরা অর্থনীতির বিপরীতে টেকসই ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতির বিস্ময়।

শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নবান্ধব নীতি ও কৌশলের কারণে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্জিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন মাথা পিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২শ ২৭ ডলার। ক্রমাগত রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, ঈর্ষণীয় প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, কর্মসংস্থান, দরিদ্র ও অতিদারিদ্র হ্রাস, দেশ-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ প্রতিটি সূচকে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের পথকে মসৃণ করেছে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচক এবং মানব উন্নয়ন সূচকেও দেশ দিন দিন উন্নতি করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বিএনপির সময়কালে অর্থনৈতিক সূচকের পরিবর্তে যেসব সূচকে তারা উন্নতি করেছিলো তা হচ্ছে, রাজনৈতিক নিপীড়ন, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতন, মুদ্রাপাচার, সাম্প্রদায়িক শক্তির তোষণ ইত্যাদি।

তিনি বলেন, বিএনপি কল্যাণমুখী অর্থনীতির বিপরীতে প্রতিষ্ঠা করেছিলো লুটপাটের অর্থনীতি। দেশের অর্থনৈতিক অন্ধকার গহ্বর থেকে সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন তার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নশীল অর্থনীতির মর্যাদায় অভিষিক্ত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ইলিশ উৎপাদনে প্রথম ও আউটসোর্সিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে, অন্যদিকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়, প্রবাসী আয়ে ৮ম, ধান উৎপাদনে ৪র্থ, পাট রপ্তানিতে প্রথম এবং উৎপাদনে দ্বিতীয়, মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। বিএনপি দেশকে পরনির্ভরশীল ও নতজানু দেখতে চায়, চায় তাবেদার হয়ে থাকতে। আওয়ামী লীগ দেশকে একটি মর্যাদাশীল এবং সমৃদ্ধ অবস্থানে উন্নীত করতে চায়।

বিএনপি নেতারা দুর্নীতির কথা বলেন, অথচ তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির সময়কাল ছিলো বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

 

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ