চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে ২৭৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশের বেশি। গত বছরের আগস্টে ২৪৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। ইপিবির হালনাগাদ তথ্য বলছে, মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশ পোশাক থেকে এসেছে। আগস্টে রপ্তানি হওয়া ২৭৫ কোটি ডলারের পোশাকের মধ্যে ৫৮ শতাংশ বা ১৬০ কোটি ডলার এসেছে নিট পোশাক থেকে। নিটের রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। তার বিপরীতে ওভেন পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
রপ্তানিকারক শিল্প মালিকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ক্রেতা দেশগুলো অনেকটাই করোনা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলাধুলা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মার্কেট চালু হয়েছে। ফলে পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তবে পণ্যের দামও কমেছে।
মানুষের আয় কমে যাওয়ায় পণ্যের দাম কমছে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ। করোনার শুরুতেই সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ উদ্যোক্তাদের সাহস জুগিয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানিতে উৎসাহ পেয়েছে। রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনার পাশাপাশি নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখার দাবিও জানান তিনি।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ বিষয়ে বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোক্তারা কারখানা খোলা রেখেছেন। কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। উদ্যোক্তারা ক্রেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন, যার ফলে পোশাক রপ্তানিও বাড়ছে। আশা করা যায় আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আশার খবর। সামনের রপ্তানি আয় ২০-২৫ শতাংশ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। ইউরোপ-আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পোশাকের চাহিদা বেড়েছে বলেও মনে করেন এই উদ্যোক্তা।