শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

৬৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলার নির্দেশ, ক্লাশ-পরীক্ষা পরে

রিপোটারের নাম
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

দি বাংলা খবর ::দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তোড়জোড় চলছে। সম্প্রতি ১৮ আগস্ট দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার পর শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

সবশেষ সোমবার (২৩ আগস্ট)মন্ত্রিপরিষদের মিটিংয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আলোচনা হয়।

এরপরই সারাদেশের ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব। সচিবের এমন নির্দেশনা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারই ধারাবাহিকতায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় প্রত্যেক উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস খুলতে শুরু করেছে। প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষকদের ওয়ার্কসিট বিতরণ, মূল্যায়ন ও গুগল মিট ক্লাস নিয়মিত পরিচালনা করতে হবে। শিখন ঘাটতি পূরণে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের সফট কপি নিয়ে যেতে হবে।

তবে অফিস খোলার নির্দেশনা আসলেও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ সময় প্রত্যেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসার সময় একজন শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে পাঠ মূল্যায়ন করবে।

এতে আরো বলা হয় , শিক্ষাকরা উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম তদারকি করবে এবং শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত রাখবে। যে কোনো সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যেতে পারে বলে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক আরটিভি নিউজকে জানায় “স্কুল খোলার বিষয়ে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কোন ধরনের পরিপত্র এখনো জারি হয়নি।”

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে ২ টি বিষয় বিবেচনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই বিষয়ের মধ্যে আছে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় দ্রুত সময়ে স্কুলগুলোও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ, শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তারা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ায় ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ