দি বাংলা খবর :: করোনা সংক্রমণের কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এদিকে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নকে গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা ও মূল্যায়নে সংস্কার করা হবে। জাতীয় পরীক্ষা ও মূল্যায়ন কেন্দ্র নামের একটি সংস্থাও গঠন করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠান করার জন্য আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
গতানুগতিক সনদ ও পরীক্ষানির্ভরতা থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতিগুলোতেই যেতে চাচ্ছি।
করোনা চলে গেলেও অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি চালু থাকবে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক বলেন, করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পরও চালু থাকবে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি। আমরা দেখেছি এটি একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের মুখস্ত-নির্ভর পরীক্ষা বাদ দিয়ে শ্রেণি মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে পরীক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে কারিকুলাম পরিমার্জন পিছিয়ে গেলেও মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাঠ পর্যায়ের কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। ধারাবাহিক মূল্যায়নেরই একটি নমুনা হলো অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, মুখস্তবিদ্যা জীবনব্যাপী কাজে লাগে না। অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নিজের মতো লিখলে তাকে বেশি নম্বর দিতে হবে। শিক্ষকদের তেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।