তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরের দখল নিয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহরটি দখলে নিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কোনো বেগ পেতে হয়নি বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
কোনো রকম যুদ্ধ ছাড়াই এ গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল নিয়েছে তারা। আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, জালালাবাদের পতনের পর এখন বড় কোনো শহর হিসেবে একমাত্র রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণই দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের হাতে রয়েছে।
আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোরে শহরটি দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। জালালাবাদ রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। এদিকে জালালাবাদ শহর দখলে নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবি পোস্ট করেছে তালেবান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জালালাবাদে কোনো যুদ্ধই হয়নি, গভর্নর নিজেই তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর একমাত্র পথই হচ্ছে বিনা বাধায় তালেবানের হাতে শহরটি তুলে দেওয়া, এমনটাই বলছেন আফগান সরকারি কর্মকর্তারা। এদিকে, গত ৬ আগস্ট থেকে তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের অন্তত ২১টির রাজধানী নিজেদের দখলে নিয়েছে।
তবে, আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানরা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির উপপ্রধান মোল্লা আব্দুলগনি বারাদার। তিনি জানান, তাদের মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের স্বাধীনতা অর্জন করা। বারাদার বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না। আফগানিস্তানের সব শ্রেণির মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি তালেবান মেনে চলছে এমন অভিযোগ সম্পর্কে মোল্লা বারাদার বলেন, দোহা চুক্তির ধারাগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। আফগানিস্তান থেকে নির্ধারিত সময়ে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি, সব তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকা থেকে তালেবান নেতাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি।