দি বাংলা খবর ::চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যারা মেনে নিতে পারেনি, তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল।
রবিবার (১৫ আগস্ট) আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে জাতির পিতার ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক হাজার অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন পৃথিবীর বুকে বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। এই নাম কেউ কোনোদিন মুছে ফেলতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম জাতির পিতার হত্যাকারী ও ইতিহাস বিকৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও একেএম আকতার হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল। আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সজীব, সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য রিপন চৌধুরী, হাসান মো. আবু হান্নান, ইকো’র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবু ইউসুফ সোহেল ও জহুর আহমদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পরিচালক শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রাজু ।
অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন বিভিন্ন থানা কমান্ডের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।