দি বাংলা খবর ::বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনারা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন। কেক কাটার পরিবর্তে দোয়া মাহফিল করেছেন কিন্তু জন্মদিন পালন করছেন। এখন ঘুরিয়ে পালন করছেন এই ভুয়া জন্মদিন।’ শনিবার (১৮ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব বলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়। এতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্ট। এদিনে ভুয়া জন্মদিন পালন করে বেগম খালেদা জিয়া জাতির সঙ্গে তামাশা করছেন। আপনার কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন বিভিন্ন নথিতে খালেদা জিয়ার অন্তত পাঁচটি জন্ম তারিখ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন তথা জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছে বিএনপি। গত কয়েক বছর ধরে অবশ্য এদিন কেক না কেটে দোয়া মাহফিল আয়োজন করে দলটি।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকীর দিন খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনে বিভিন্ন মহলে রয়েছে নানা সমালোচনা। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি প্রধানের জন্মদিনসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়েছে হাইকোর্টও।’
ওবায়দুল কাদের জানান, মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী বেগম জিয়ার জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫; বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেল খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে, ১৯৪৬।’
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল আমিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলান, সাধারণ সম্পাদক এমএ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ ও ইমার্সিভ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।