দি বাংলা খবর : পাবনার ঈশ্বরদীতে ভালোবেসে বিয়ের ৬ মাস পর মেঘলা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাঁড়াগোপালপুর ইরকোন গেট এলাকার শ্বশুরবাড়ির বসতঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে মেঘলা খাতুনের স্বামী আশিক ইসলাম পলাতক রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শাশুড়ি মুরশিদা খাতুনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ। নিহত মেঘলা পাকশী ইউনিয়নের সিভিলহাট গ্রামের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে।
গৃহবধূর শ্বশুর আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ১১টার দিকে তার পুত্রবধূ ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে জেগে তার ছেলে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে মেঘলা। এ দৃশ্য দেখে ছেলে আশিক হতভম্ব হয়ে চিৎকার করতে থাকে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বিষয়টি দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
তবে গৃহবধূর বাবা হাফিজুল ইসলাম দাবি করেন, গত বুধবার রাতে আশিক আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেলে ফেলেছে। পরে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফিরোজ কবির জানান, লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে- এমন মৌখিক অভিযোগ তার পরিবার করেছে। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না করে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।