এরপর নবী হোসেনের পকেটে থাকা আইডি কার্ড পেয়ে পটিয়ার পুলিশ খবর পাঠায় ভৈরবে। পরিবারের লোকজন এসে লাশটি শনাক্ত করে মামলা করে পটিয়া থানায়। আর মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন চট্টগ্রাম। এতে একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে জড়িতরা। গেল বছরের ২৩ অক্টোবর ভৈরব এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রাইভেটকার চালক এবং তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (৮ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আশরাফুল হক প্রকাশ সাব্বির (২৩) এবং তার মা শিউলী বেগম (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সিভয়েসকে বলেন, দশ মাসে আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর কৌশলে মায়ের প্রেমিক নবী হোসেনকে দাওয়াতের কথা বলে অপহরণ করে সাব্বির। চলন্ত প্রাইভেটকারের ভিতর কুমিল্লাতে এসে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার দুই সহযোগী। তারপর তার লাশ এনে চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি জঙ্গলে ফেলে তারা ভৈরব চলে যায়। এ ঘটনার জন্য গাড়ি ভাড়া সহ ৭৫ হাজার টাকা দেয় তাদের। এরপর থেকে তারা পলাতক ছিলো। তথ্যপ্রযুক্তি সাহায্য নিয়ে শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।