সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

অবশেষে বিয়ে হলো প্রসূনের

রিপোটারের নাম
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

দি বাংলা খবর ::অবশেষে জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী প্রসূন আজাদের বিয়ের সানাই বাজলো। পাত্র প্রসূনের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক ফারহান। পেশায় ব্যবসায়ী ও ফার্ম হাউজের মালিক।

গতকাল শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে নিজ বাড়ির এলাকার মসজিদে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসূনের পরিবার। করোনার কারণে খুব অল্প পরিসরের বিয়ের আয়োজনে সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্যরা।

প্রসূন জানান, করোনার কারণে বিয়েতে তেমন কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। লকডাউনে কাজী অফিসও বন্ধ ছিল। তাই পাত্রী বাসায় আর বর পক্ষ মসজিদে গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

প্রসূন বলেন, ‘আমাদের বিয়ের পর্বটা শেষ হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন। আমরা যেন সুখী হতে পারি।’

এর আগে, কোরবানির ঈদের পরের শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল প্রসূন আজাদের। এ কারণে বাসায় তৈরি করা হয়েছে গায়েহলুদ-মেহদির মঞ্চ। কিন্তু লকডাউনের কারণে আটকে যায় বিয়ের আয়োজন।

গেল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রসূন বলেন, ‌‘বাবা-মা দুজনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত। সরকারি আদেশের কারণে লকডাউনে নিয়ম ভেঙে তারা বিয়ের আয়োজন করতে চান না। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলছেন। যদি অনুমতি পান তাহলে দ্রুতই বিয়ে হবে।’

তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘ডিএমপি থেকে অনুমতি পেলে হয়তো বিয়ে হবে। আর আমরা চাইছি, মসজিদে গিয়ে বিয়েটা করতে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন টেনশন আর প্রস্তুতি নিয়ে আছি। আর কুলচ্ছে না। দেখি কালকে (৩০ জুলাই) দুপুরের মধ্যে যদি অনুমতি পাই, তাহলে ভালো নইলে বাবাকে নিয়ে রিকশায় উঠবো। টিকাটুলি মসজিদে গিয়ে ফারহানকে ডেকে নেব। দুজনে নামাজ পড়ে আত্মীয়-স্বজন ছাড়াই বিয়ে করে ফেলতে পারি।’

এদিকে, গত ১২ জুন প্রসূনের বাগদান হয়। এরপর থেকেই তারা বিয়ের কেনাকাটা ও প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। ঠিক করা হয়, কোরবানির ঈদের পরই বিয়ে হবে। তবে সেদিন থেকেই সরকার কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের লাক্স চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন প্রসূন। এরপর টানা কাজ করলেও ২০১৬ সাল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। নাটকে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। এরমধ্যে সাম্প্রতিক বেশ কিছু সি‌নেমায় অভিনয় করেছেন।

এ তা‌লিকায় আ‌ছে নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’, রাশিদ পলাশের ‘পদ্মপুরাণ’, জায়েদ রেজওয়ানের ‘মৃত্যুপুরী’ এবং নিশীথ সূর্যের ‘পায়রার চিঠি’।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ