সাজ্জাদের বোন শামীমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কোতোয়ালী ও সাতকানিয়া থানা পুলিশ বিষয়টি জানেন না।
শামীমা আক্তার বলেন, ‘কাল রাতে সাজ্জাদ আমার বাসায় আসে। ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়ে। এরইমধ্যে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিভিলে ডিবির চারজন লোক আসে। আর রূপনগর থানার এসআই সুমন আসে পোশাক পরে কয়েকজন পুলিশ নিয়ে। তারা সাজ্জাদকে যেতে বললে তিনিও তাদের সাথে কোন কথা না বলে চলে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি সকালে মিন্টুরোডের ডিবি কার্যালয়ে গেলে তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমি এখনও নিশ্চিত না। তাকে কি ঢাকায় রাখা হয়েছে নাকি চট্টগ্রামে নিয়ে গেছে।’
যদিও কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দীন ও সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি না জানার কথা জানান। তারা দুজনেই বলছেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
অন্যদিকে ডিবির সাথে অভিযানে যাওয়া ডিএমপির রূপনগর থানার এসআই সুমন বণিক বলেন, ‘তাকে আমরা ধরিনি। ডিবি নিয়ে গেছে। সে এখন মিন্টু রোডে আছে। ডিবির অভিযানের খবর পেয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে এলাকার লোকজন পুলিশকে কল করলে আমি টহলে ছিলাম, তাই সেখানে গিয়ে দেখি এরা ডিবির লোকজন। পরে সাজ্জাদ তাদের সাথে চলে যান।’
এর আগে, গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের সিইও ডা. বিদ্যুত বড়ুয়াকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় সাতকানিয়া ও কোতোয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
কোতোয়ালীতে মামলাটি করেন ফিল্ড হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক ফটিকছড়ির বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ ফারুক চৌধুরী। সাতকানিয়াতে মামলাটি করেন পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের।
মামলার এজহারে ‘ভুয়া জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ! আইনানুগ ব্যবস্থা চাই…’ শিরোনামে সাজ্জাতের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এ অপরাধে সাজ্জাতের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২), ২৯ (১), ৩১ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
ফেসবুকে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে লেখালেখি করায় সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটি থেকেও বাদ দেওয়া হয় সাজ্জাত হোসেনকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।