মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০২:৫২ অপরাহ্ন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিকল হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের যানবাহন

রিপোটারের নাম
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

 

দি বাংলা খবর :: করোনার কারণে সারাদেশে একযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সাথে সাথে বিকল হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের আনা নেয়ার জন্য পরিবহন। কিছু পরিবহন রাস্তার আছে পাশে, কিছু রয়েছে বিভিন্ন গ্যারেজে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা নেয়ার জন্য যে পরিবহন রয়েছে তা দির্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রায় দের বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই সাথে তাদের পরিবহনগুলোও বন্ধ রয়েছে।

কিছু কিছু পরিবহন রাস্তার পাশে, গ্যারেজে বা স্কুলের গ্রাউন্ডে পড়ে আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে ততদিনে বেশির ভাগ পরিবহনই বিকল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুধু পরিবহনই নয় উপজেলার প্রতিটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলই ভবন ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভবন ভাড়া ঠিক মতো দিতে পারছে না স্কুলের মালিকপক্ষ।

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ঠিক মতো বেতন পেলেও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কোন শিক্ষকই বেতন পাচ্ছেন না। পরিবার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ থাকলেও এখন সেটা করেই কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন তারা।

একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভাড়ার টাকা দিতে পারছে না স্কুলের মালিক পক্ষ। কি করে শিক্ষার্থী পরিবহনের গাড়ি সংরক্ষণ করবো। যে সকল প্রতিষ্ঠানের গাড়ি রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানই সেই স্কুল বাস দিয়ে যাত্রী বহনের কাজে ব্যবহার করছে।

আবার যারা গাড়িগুলো রাস্তার পাশে, গ্যারেজে রেখে দিয়েছে তাও অনেকটাই নষ্ট হওয়ার পথে। কিছুই করার নেই। করোনা সকল দিক থেকে ঘিরে ধরেছে। কবে মুক্তি পাবো করোনার থাবা থেকে, শিক্ষার্থীরা মুক্ত পরিবেশে আবার স্কুলে ঘুরে বেড়াবে।

পৌরসভার ঢুলিভিটা হতে ধামরাই বাজারে যাওয়ার পথে রাস্তার পূর্ব পাশে দির্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে ধামরাই আইডিয়াল স্কুলের বাসটি। করোনার কারণে স্কুল প্রায় দের বছর ধরে বন্ধ থাকায় গাড়িটিও রাস্তার পাশে রেখে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এতে ধীরে ধীরে গাড়িটি বিকল হতে থাকে। অনেক স্কুলের গাড়ি রাস্তার পাশে, স্কুলের ভিতর, গ্যারেজে রেখে দিয়েছে এতেও গাড়ির নানা সমস্যা দেখা দিবে। অনেকটা বিকলও হয়ে যাবে।

অনেক কিন্ডারগার্টেন নাকি বিক্রির জন্য চেষ্টা করছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক জানান, তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় শিক্ষকই অনত্র কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কারণ কাউকে বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষক মো. আজিজুর রহমান সরকার বলেন, করোনায় যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থবির করে দিয়েছে তেমনি বিকল করে দিয়েছে স্কুল বাস। শুধু আইডিয়াল স্কুলের বাসটিই রাস্তায় নষ্ট হচ্ছে না, প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট স্কুলের স্কুল বাসের অবস্থা একই রকম। করোনা স্বাভাবিক হলে স্কুল চালু হবে, তখন আর স্কুল বাস খুজে পাওয়া যাবে না। সেগুলো বিকল হয়ে পড়বে। শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ