শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

এবার কান উৎসব মাতালো বাংলাদেশের ‘মুন্নি’

রিপোটারের নাম
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

দি বাংলা খবর :: কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাজার মার্শে দ্যু ফিল্মের তথ্যচিত্র বিভাগের ‘ডকস ইন প্রগ্রেস’-এ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের তথ্যচিত্র ‘মুন্নি’। বিভাগটির ‘থিঙ্ক-ফিল্ম ইমপেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে তথ্যচিত্রটি।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৫টায় ‘কানডকস’-এর ডকস ইন প্রগ্রেস (যেসব ছবির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি) বিভাগের পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়।

পালে দ্য ফেস্টিভালের মার্শে দ্যু সেকশনে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুম-এর মাধ্যমে যোগ দেন উৎসবে উপস্থিত হতে না পারা নির্মাতা ও প্রযোজকরা।
পুরস্কার ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় চলচ্চিত্রের পরিচালক তাহরিমা খান বলেন, এখনো ছবিটির সম্পাদনা চলছে। সম্পাদনা শেষ হলে তা সবার জন্য প্রদর্শনী করা হবে। তখন দেখা যাবে ‘রিয়াল ইমপ্যাক্ট’।

তাহরিমা খান বলেন, এটা একটা বড় অর্জন। আমি অনেক অনুপ্রাণিত।

এ বছর কানে ৩২টি ডকুমেন্টারি প্রজেক্ট জমা পড়েছে কানডকসে। সেখান থেকে ৬টি পুরস্কারটি জিতেছে। এই তথ্যচিত্রের গল্পটি টাঙ্গাইলে একদল কিশোরী ফুটবল খেলোযাড় ও তাদের প্রশিক্ষক কামরুন্নাহার মুন্নিকে নিয়ে।

তাহরিমা খান জানান, আমরা যেভাবে একটি নারী ফুটবল দলকে দেখি, তার বাইরে গিয়ে ছবিটিতে আরো গভীর কিছু দেখানোর চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি, তাদের ভেতরের কথাগুলো, সংগ্রামের কথাগুলো তুলে ধরার জন্য। তাদের স্বপ্নগুলোকে ছুঁয়ে দেখার জন্য।

প্রশিক্ষক মুন্নি এই কিশোরীদের বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ তৈরিতে সহযোগিতা করছেন। সেই গল্পই উঠে আসবে তথ্যচিত্রটিতে।

তাহরিমা খান বলেন, এই কিশোরীরা যেন শুধু খেলার মাঠেই নয়, জীবনের সংগ্রামে জিততে পারে, সেই গল্পই দেখানো হবে এই চলচ্চিত্রে। আগামী জানুয়ারির দিকে সম্পাদনার কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

এই পুরস্কারের অধীনে তাহরিমা কৌশলগত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পাবেন।

এ বিষয়ে ছবির প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন বলেন, ডকুমেন্টারি শুধু বানানোই নয়, সমাজে তা কতটা ইমপ্যাক্ট বা প্রভাব তৈরি করার ক্ষমতা রাখে, আজকাল তা-ও বিবেচনা করা হয়। সে বিবেচনায় নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক বৈষম্য রোধে মুন্নি তথ্যচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সে জায়গা থেকেই হয়ত এই চলচ্চিত্রটিকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

কানডকসে এই প্রথম সাউথ এশিয়ান শোকেসে চারটি ছবি নিয়ে আসে ইন্টারন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ অফ বাংলাদেশ, আইএফআইবি। চারটি ছবির মধ্যে বাংলাদেশের মুন্নি ছাড়াও রয়েছে আফগানিস্তানের বার্ডস স্ট্রিট, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় ‘থার্টিন ডেসটিনেশন্স অফ আ ট্র্যাভেলার’ এবং নেপালের ‘দেবি’৷ এর মধ্যে দেবি পেয়েছে ‘অনারারি মেনশন’ এবং মুন্নি পেয়েছে থিঙ্ক-ফিল্ম ইমপেক্ট অ্যাওয়ার্ড।

আইএফআইবি’র প্রেসিডেন্ট সামিয়া জামান বলেন, প্রথমবারের মতো সাউথ এশিয়া শোকেসে আসতে পারাটাই বড় বিষয় ছিল। তারপর অনারারি মেনশন ও বাংলাদেশের তথ্যচিত্রটি অ্যাওয়ার্ড জেতায় খুব খুশি লাগছে। মুন্নির পুরস্কারটিও খুব সঠিক হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ