দি বাংলা খবর ডেস্ক ::বিলিয়নিয়ার রিচার্ড ব্রানসন সব সময় একটি স্বপ্ন দেখতেন, সেই স্বপ্ন পূরণে ২০০৪ সালে তিনি নিজস্ব একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। রবিবার (১১ জুলাই) সেই স্বপ্ন পূরণে ব্রানসন নিউ মেক্সিকোর একটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ভার্জিন গ্যালাক্টিক স্পেস শাটলে মহাকাশ যাত্রা করেন।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ব্রানসন মহাকাশ পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে প্রথম মহাকাশ পাড়ি দিচ্ছেন, তার প্রতিদ্বন্দী বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের চেয়ে তিনি এগিয়ে গেলেন, এমাসের শেষের দিকে জেফ বেজোস নিজস্ব সংস্থা ব্লু অরিজিনের তৈরি রকেটে মহাকাশ যাত্রা করেন।
আমাজান প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের প্রধান প্রতিদ্বন্দী স্পেস এক্স প্রধান এলান মাস্ক টুইটারে ঘোষণা করেছেন, ‘তিনি এই মহাকাশ যাত্রা প্রত্যক্ষ করতে সেখানে থাকবেন।’
তিনি ব্রানসনকে লিখেছেন, “আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে আমি সেখানে থাকবো।”এর কয়েক ঘন্টা পরই বেজোসের সমর্থনে তার নিজের সংস্থা ব্লু অরিজিনের স্পেস অফার এবং ভার্জিন গ্যালাক্টিকের তুলনা করে একটি পোস্ট ভাইরাল করা হয়।
অনেক পর্যটক ২০০০ সালের দিক রাশিয়ান রকেটে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভ্রমণ করেছেন। ব্রানসনের এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণকারী ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ব্যক্তিগত মহাকাশ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করা।
স্পেস ফ্লাইটটি মাউন্টেন টাইম সকাল ৭টা’র (১৩০০ জিএমটি) কিছু পরে যাত্রা শুরু করবে, ভার্জিন গালাক্টিক ওয়েবসাইটে এটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একটি বিশাল ক্যারিয়ার প্লেন একটি আনুভূমিক রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করবে, ২জন পাইলট এটিকে এক ঘন্টায় পৃথিবীর কক্ষপথে নিয়ে যাবেন।
বিমানটির নিচে ভিএসএস ইউনিটি স্পেসশিপ যুক্ত থাকবে, সাব অরবিটাল রকেট চালিত মহাকাশযানে আরো ২ জন পাইলট এবং ৪জন যাত্রী থাকবেন, এদের মধ্যে ব্রানসন ছাড়া গ্যালাক্টিক ভার্জিনের ৩ কর্মচারী রয়েছেন।
৫০ হাজার ফুট (১৫ কিলোমিটার) উচ্চতায় ওঠার পরে প্রাইভেট বিমান আকারের ভিএসএস ইউনিটি উড্ডয়ন শিপ থেকে আলাদা হয়ে রকেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার, নাসা এই উচ্চতাকে বায়ুমন্ডলের প্রান্তসীমা বিবেচনা করে) উচ্চতায় আরোহন করবে।
এরপর রকেট ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন করার পর স্পেসশিপের যাত্রীরা কয়েক মিনিটের জন্য ওজন শূন্যতা অনুভব করবেন, এ সময় শিপের ১৭ টি জানালা দিয়ে গোলাকার পৃথিবীর বক্র পৃষ্ঠতল দেখতে পাবেন। পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবী অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবেন।
রবিবারের পর ভার্জিন গ্যালাক্টিক আরো দুইটি ফ্লাইটের পরিকল্পনা করেছে, এরপর ২০২২ সাল থেকে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের লক্ষ্যমাত্রা বছরে ৪০০ টি ফ্লাইট পরিচালনা করা।
ইতোমধ্যে ৬০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে, এদের ৬০ জন বিভিন্ন দেশের। মহাকাশ পর্যটক হিসেবে টিকেট ক্রেতাদের মধ্যে হলিউড সেলিব্রিটিরাও রয়েছেন। টিকেটের মূল্য ২ লাখ ডলার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।