মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০২:০২ অপরাহ্ন

ইভ্যালিকে ২১৪ কোটি টাকা ফেরত অথবা পণ্য দিতে হবে : টিক্যাব

রিপোটারের নাম
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১

দি বাংলা খবর ::ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ মোতাবেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
আজ রবিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছেন টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক।
মুর্শিদুল হক বলেন, গত ৪ জুলাই ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশিত হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ‘পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচদিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে’।
অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকাসহ সারা দেশের গ্রাহকদের হাজার হাজার অর্ডার ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে।
১-৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার পরও গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ কিছুই ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টান্টা অপেক্ষা করেও কোন ফল মিলছে না। অথচ ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা’।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২১৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের নিকট হতে ১৮৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকার পণ্য বাকিতে গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩ দশমিক ৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫ দশমিক ১৭ কোটি টাকা। বাকি অর্থ কোথায় তার কোনো হদিস নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাবের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষায় ৩ দফা প্রস্তাব
ইভ্যালিসহ যেব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অর্ডার মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে সেসব অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকদের পণ্য অথবা অর্থ ফেরত দিতে হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করতে হবে।
ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম বা প্রতরণার আশ্রয় না নিতে পারে সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে ও অভিযোগ প্রমাণ হলে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ